স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে ধান তোলায় বিপাকে পড়া কৃষকের সহযোগী হয়ে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ। বিভিন্ন জেলায় দলবেধে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির নেকাতর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন।
করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক হওয়ার কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে চলছে সরকার ঘোষিত ছুটি। আর এপ্রিল থেকে মে মাস হলো বোরো ধান তোলার সময়। দেশে খাদ্যের বড় জোগান আসে এই বোরো ধান থেকে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
এই অবস্থায় মহামারী করোনার মোকাবেলায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ এর নির্দেশে গরীব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি রেফায়েত আহমেদ ডলার ছাত্রলীগের কর্মীবৃন্দকে উৎসাহ দিতে কাস্তে হাতে নেমে পড়েন অসহায় কৃষকদের ধান কাটতে।
সোমবার (১১ মে) সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের কল্যাণী গ্রামে ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রলীগের নেতা রেফায়েত আহমেদ ডলার।
এসময় তারা কল্যাণী গ্রামের স্থানীয় কৃষকের ১ বিঘা জমির ধান কেটে দেন। শ্রমিকবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছাত্রলীগের জন্য নতুন কিছু নয় বলে মনে করেন দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির এই নেতা।
দরিদ্র কৃষক বলেন, ‘আগাম ২৯ জাতের বোরো ধান করায় ৪-৫ দিন হলো ধান পাকতে শুরু করেছে। কয়েক দিন ধরে গ্রামের শ্রমিকদের ধান কাটার জন্য অনুরোধ করে আসছি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটতে রাজি হননি তারা। ধান নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যাই। সোমবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা ডলার ফোন দিয়ে আমার ক্ষেতের ধান কেটে দেবেন বলে জানান। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।’
ছাত্রলীগ নেতা রেফায়েত আহমেদ ডলার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারাণ সম্পাদকের নির্দেশে কৃষকের বোরো ধান কেটে দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের এই সময়ে শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা তাদের ক্ষেতের ধান কাটতে পারছেন না। মানবিক কারণেই আমরা দরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং তাদের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’